[সূরা ত্ব-হা ২০:৫] اَلرَّحۡمٰنُ عَلَی الۡعَرۡشِ اسۡتَوٰی (রহমান আরশের উপর উঠেছেন)। উঠার ধরণ আমাদের অজানা।
আরশের মধ্যে কুরসীর অবস্থান ভূ-পৃষ্ঠের কোনো খোলা ময়দানে একটি আংটির মতো।
যে সকল ফিরিশতা আরশ বহন করেন, তাদের একজনের কানের লতি থেকে কাঁধ পর্যন্ত স্থানের দূরত্ব হলো সাতশ বছরের দূরত্বের সমান।
কিয়ামতের দিন ৮ জন ফেরেশতা আরশকে বহন করবেন।
কুরসী থেকে পানির মহাসমূদ্রের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।
কুরসী হলো আল্লাহ তায়ালার পা রাখার স্থান। আল্লাহ তায়ালার পা আছে। কিন্তু পায়ের ধরণ আমাদের অজানা।
কুরসীর মধ্যে ৭টি আসমানের অবস্থান হলো একটি ঢালের মধ্যে নিক্ষিপ্ত ৭টি দিরহাম বা মুদ্রার মতো।
৭ম আসমান থেকে কুরসীর দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।
জান্নাতসমূহ ৭ম আসমানের উপরে অবস্থিত। জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর হলো ফিরদাউস।
শুধুমাত্র শহীদদের মর্যাদার ক্ষেত্রেই জান্নাতে ১০০টি স্তর রয়েছে।
সর্বশেষ যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে তাকে দেওয়া হবে পৃথিবী এবং তার সমপরিমাণ সম্পদ। অন্য বর্ণনায় এসেছে পৃথিবী এবং তার ১০ গুণ সম্পদ।
জান্নাতসমূহের প্রস্থ হলো আসমানসমূহ ও যমীনসমূহের সমান। (কুরআন 3:133)
‘সিদরাতুল মুন্তাহা’ হল সপ্তম আসমানে অবস্থিত একটি কুল (বরই) গাছ। আর এটাই শেষ সীমা। এর উপরে কোন মালাক (ফেরেশতা) যেতে পারেন না। এখানেই রয়েছে জান্নাতুল মা'ওয়া।
৭ম আসমানের উপরে রয়েছে বায়তুল মা'মুর।
এতে প্রতিদিন ৭০,০০০ মালাইকাহ (ফেরেশতা) ইবাদতের জন্য প্রবেশ করেন।
মেরাজের সময় রাসূল (সা) ৭ম আসমানে ইবরাহীম (আ) কে বায়তুল মা'মুরে হেলান দিয়ে বসে থাকতে দেখেছিলেন।
৬ষ্ঠ আসমান থেকে ৭ম আসমানের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।
মেরাজের সময় রাসূল (সা) ৬ষ্ঠ আসমানে মূসা (আ) কে দেখেছিলেন।
৫ম আসমান থেকে ৬ষ্ঠ আসমানের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।
মেরাজের সময় রাসূল (সা) ৫ম আসমানে হারুন (আ) কে দেখেছিলেন।
৪র্থ আসমান থেকে ৫ম আসমানের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।
মেরাজের সময় রাসূল (সা) ৪র্থ আসমানে ইদরীস (আ) কে দেখেছিলেন।
৩য় আসমান থেকে ৪র্থ আসমানের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।
মেরাজের সময় রাসূল (সা) ৩য় আসমানে ইদরীস (আ) কে দেখেছিলেন।
২য় আসমান থেকে ৩য় আসমানের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।
মেরাজের সময় রাসূল (সা) ২য় আসমানে ঈসা (আ) এবং ইয়াহ'ইয়া (আ) কে দেখেছিলেন।
১ম আসমান থেকে ২য় আসমানের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।
মেরাজের সময় রাসূল (সা) ১ম আসমানে আদম (আ) কে দেখেছিলেন।
১ম যমীন থেকে ১ম আসমানের দূরত্ব ৫০০ বছরের রাস্তা।
যমীনবাসীর উপকারার্থে সূর্য, চন্দ্র, তারকাসমূহ, রাত, দিন, মেঘমালা ১ম আসমানের নীচে অবস্থান করে।
পৃথিবীকে পানির উপরে কাবার নীচ থেকে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৫০০ বছরের রাস্তা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে।
মানবজাতি ও জ্বীনজাতি এবং পশু-পাখি ১ম যমীনের সমতল পৃষ্ঠে বসবাস করে।
জাহান্নাম সমূহ ৭ম যমীনের নীচে অবস্থিত। জাহান্নামের অনেক স্তর রয়েছে। সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে মুনাফিক্বগণ।